বাজারের ভাষা বা মার্কেট ল্যাংগুয়েজ বোঝার অন্যতম জনপ্রিয় পদ্ধতি হল টেকনিক্যাল এনালাইসিস। মূলত একটি শেয়ারের দামের পরিবর্তন (Price Movement) এবং গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করে ভবিষ্যতে একটি শেয়ারের মূল্য কেমন হতে পারে সেই বিষয়টি অনুমান করাই টেকনিক্যাল এনালাইসিসের কাজ।
টেকনিক্যাল এনালাইসিসে মূলত শেয়ার সমূহের বিভিন্ন সময়ের, মূল্যের এবং ভলিউমের গ্রাফ এবং বিশেষ কিছু চিহ্নের ব্যবহারকরা হয়। এই গ্রাফ গুলো আবার বিভিন্ন স্ট্যাটেস্টিকস বা পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। লাইন চার্ট বা রেখা এবং বার চার্ট উভয় ধরনের চার্টই এতে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।
শেয়ার মূল্যের উঠানামার গতিপ্রকৃতি এবং শেয়ার ভলিউমের হাত বদলের ভিত্তিতে শেয়ারের ভবিষ্যৎমূল্য অনুমান করা হয়। একজন এনালিস্ট সাধারণত চার্ট ব্যাবহার করে একটি বাজারের দামের পরিবর্তন (Price Movement) বোঝার চেষ্টা করে থাকেন ।
এই চার্ট এর মাধ্যমেই আসলে বিভিন্ন ধরনের প্যাটার্ন (Pattern) এবং ট্রেন্ড (Trend) বুঝতে পারবেন যা আপনার বিনিয়োগের সুযোগ গুলো আরও বাড়িয়ে দিবে । এক কথায় বলা যায় টেকনিক্যাল এনালাইসিসে মূল্যের (Price) গতিই পর্যবেক্ষ্ণ করা হয় এবং চার্ট-ই হচ্ছে এর প্রাথমিক উপাদান ।
এখানে অনুমান কথাটির উপর জোর দেয়া হয় কারন এই অনুমান ১০০% নিশ্চিত নয়। এই পদ্ধতিতে যে কোন শেয়ারের বাজার মূল্য অনুমানকৃত মূল্যের কম বেশী হতে পারে। নিয়মিত অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল এনালাইসিস ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীগণ তাদের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন অথবা ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে আনতে পারেন।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রকাশনা “The Wall Street Journal” এর সহ প্রতিষ্ঠাতা CharlesHenry Dow-কে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনিই এই ধারনার প্রবর্তন করেন যে, বাজারের গতির সাথে শেয়ারের মূল্যের উঠানামা ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। বাজারের গতিবা ট্রেন্ড বুঝে শেয়ার কেনা-বেচাই হল টেকনিক্যাল এনালাইসিস বা প্রযুক্তিগত বিশ্লেষনের মূল কথা।